Ticker

10/খামার ব্যবস্থাপনা/ticker-posts

কবুতরের ঠান্ডা জনিত সমস্যা চিকিৎসায় প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার।


কবুতরের ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে শ্বাসকষ্ট এটা খুবই ছোট একটি ব্যাকটেরিয়াল রোগ। তবে আমাদের অসতর্কতা জনিত কারণে এই রোগটি অনেক সময় বড় আকার ধারন করে।যেমন কবুতরের ঠান্ডা জনিত সমস্যা দেখা দিলে অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে এজিথ্রোমাইসিন এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা চালানো শুরু করেন। যা কবুতরের শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে দমন করে, এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে উজ্জীবিত করে। যারা এই কাজটি করেন তারা একবার ও কি ভেবে দেখছেন। এজিথ্রোমাইসিন এর মত মেডিসিন কার্যকারী না হলে পরবর্তী পর্যায়ে কি মেডিসিন দিয়ে চিকিৎসা দিবেন? 

এজিথ্রোমাইসিন ও হাই এন্টিবায়োটিক এর মত মেডিসিন এর ব্যবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থাকা কবুতরগুলো সুস্থ হলেও। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা কবুতরগুলোর শরীরে রোগটি সেকেন্ডারি টনিকে পরিনত হয়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। 

আজ আলোচনা করবো কবুতরের ঠান্ডা জনিত সমস্যা দেখা দিলে সেটির করনীয় বিষয় এবং সমাধান নিয়ে। 


ঠান্ডা জনিত সমস্যায় প্রাথমিক পর্যায়ে করনীয়ঃ


উপাদানঃ-


এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে চা চামচের এক চামচ মধু,এক চামচ আদার রস,এক চামচ তুলসীপাতার রস,১০ ফোটা লেবুর রস, একসাথে মিশিয়ে একেকটা কবুতরকে সকালে ১৫/২০ এম এল এবং একই নিয়মে বিকালে নতুন করে উপাদান গুলোর মিশিয়ে ১৫/ ২০ এম এল করে  খাওয়াতে হবে। দুপুরে ১০ এম এল টক দধির পানি খাওয়ান। ইনশাআল্লাহ কবুতর সুস্থ হবে এবং রোগটি সেকেন্ডারী টনিক পর্যায়ে যাওয়ার ও কোন সম্ভাবনা নাই। 


শ্বাসকষ্টে মধুর কার্যকরীতাঃ-

  • শ্বাসযন্ত্রের ওপরের অংশে অবস্থিত নাক, গলা, কণ্ঠ, শ্বাসনালী যুক্ত ফুসফুসের সঙ্গে। এসব যন্ত্রের কোনো কোনো সমস্যা দূর করতে মধু অত্যন্ত কার্যকরী। 

  • মধু ব্যাবহার করলে লিভার টনিক ও এনজাইম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। 

  • এছাড়াও মধু শরীর গরম রাখতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।

  •  এটি সস্তা ও সহজলভ্য। 

  • এটির কোন ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। 

  • মধু অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ  মধুতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের ক্ষমতা রয়েছে। 

  • মধু ই. কোলাই ও সালমোনেলাসহ ব্যাকটেরিয়ার কয়েক ডজন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কার্যকর।


প্রতিটি উপাদানের আলাদা আলাদা কার্যকারিতা জানতে এখানে ক্লিক করুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে যত্ন


কবুতরের ঠান্ডা বা সর্দীকাশির চিকিৎসায় ওষুধের ব্যবহার। 

আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন। নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow  করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান  মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।

আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।

আপনাদের সকলের শারীরিক সুস্থতা   ও সকলের কবুতর গুলোর সুস্থতা কমনা করে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।

Acknowledgment of gratitude:- Khandokar Asaduzzaman Kajol 
Senior Pigeon Breeder and Admin(Only Fancy Pigeon Club in Bangladesh)


 *******Thank You *******

আল্লাহ হাফেজ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ